শিক্ষার্থীর তথ্য
শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থীর তথ্য
রাণীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় | |||
---|---|---|---|
শ্রেণি ভিত্তিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা - ২০২৪ | |||
ক্রমিক নং | শ্রেণি | ছাত্রী | মোট শিক্ষাথী |
১ | ৩য় | ৩৪ | ৩৪ |
২ | ৪র্থ | ৩২ | ৩২ |
৩ | ৫ম | ৩৮ | ৩৮ |
৪ | ৬ষ্ঠ | ৩২ | ৩২ |
৫ | ৭ম | ৩৭ | ৩৭ |
৬ | ৮ম | ৩৪ | ৩৪ |
৭ | ৯ম | ৩২ | ৩২ |
৮ | ১০ম | ৩৬ | ৩৬ |
মোট | ২৭৫ |
রাণীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় | |||
---|---|---|---|
শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থীর আসন সংখ্যা | |||
ক্রমিক নং | শ্রেণি | ছাত্রী | মোট শিক্ষাথী |
১ | ৩য় | ৪০ | ৪০ |
২ | ৪র্থ | ৪০ | ৪০ |
৩ | ৫ম | ৪০ | ৪০ |
৪ | ৬ষ্ঠ | ৪০ | ৪০ |
৫ | ৭ম | ৪০ | ৪০ |
৬ | ৮ম | ৪০ | ৪০ |
৭ | ৯ম | ৪০ | ৪০ |
৮ | ১০ম | ৪০ | ৪০ |
মোট | ৩২০ |
শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় ইউনিফরম/ড্রেস কোড
১.বিদ্যালয় ইউনিফর্ম পরিধান করে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসবে। বিদ্যালয় ইউনিফর্ম হলো-ফুলহাতা সাদা শার্ট (কলার সহ) তার উপরে ডিপ সবুজ কালার কামিজ হাটুর নীচ পর্যন্ত,শার্টের সাথে দুই কাধে দুটি লগো সম্বলিত সবুজ বেল্ট এর ব্যাচ (ব্যাচের উপরে দুটি করে সাদা রং এর বর্ডার),সাদা সালোয়ার,বেল্ট সাদা রং,সাদা ওড়না কমপক্ষে ৫ ইঞ্চি চওড়া ভাজ করে বেল্ট দিয়ে পড়বে,সাদা স্কার্ফ,সাদা কেডস,সাদা মোজা,শীতকালে লাল রঙের ভি-গলা সোয়েটার/কার্ডিগান।
২. বোরখা পড়তে চাইলে: ডিপ সবুজ রঙের ফুলহাতা লং বোরখা,দুই কাধের নিচে লগো সম্বলিত ব্যাচ,সাদা হিজাব)। কোন অবস্থাতেই অন্য পোশাক পরা চলবে না। চুলে দুই বেনী করে সাদা রাবার ব্যান ব্যবহার করতে হবে। কানে বড় গহনা পরে আসা যাবে না। বিদ্যালয় ইউনিফর্ম না পরে আসলে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
শিক্ষার্থীদের আচরণ-বিধি ও বিশেষ নির্দেশনাবলী
১. মহান সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে সকল কাজ আরম্ভ করবে।
২. মাতা-পিতা,শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বড়দের শ্রদ্ধা করবে এবং সালাম দিবে।
৩. সৎ চিন্তা করবে,সৎ পথে চলবে,সত্য কথা বলবে,অন্যায়কে ঘৃণা এবং প্রতিহত করার চেষ্টা করবে।
৪. অধ্যাবসায়ী ও পরিশ্রমী হবে। কখনো হতাশ হবে না। জীবনে সফলতার জন্য সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা,সাহায্য প্রার্থনা ও সাধনা করবে।
৫. জাতীয় সঙ্গীত,শপথ বাক্য পাঠ ও ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে (বাংলা অর্থসহ) শুদ্ধ উচ্চারনে মুখস্থ করবে।
৬. ক্লাস শুরুর ১৫ মিনিট পূর্বে যথারীতি ‘সমাবেশ’ যোগদান করবে এবং সমাবেশ শেষে সারিবদ্ধভাবে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করবে।
৭. শ্রেণির ঘন্টা বাজার ২/৩ মিনিটের মধ্যে যদি কোন শিক্ষক/শিক্ষিকা কক্ষে না আসেন তাহলে,শ্রেণি মনিটর সহকারি প্রধান শিক্ষককে অবশ্যই জানাবে।
৮. স্কুল চলাকালীন সময়ে টিফিন পিরিয়ড ব্যতীত কোন শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষের বাইরে যেতে পারবে না।
৯. শ্রেণিকক্ষের ময়লা-আর্বজনা,টিফিনের বর্জ্য ইত্যাদি সামগ্রী যত্রতত্র না ফেলে ক্লাসের সংরক্ষিত ঝুঁড়িতে ফেলতে হবে।
১০. টিফিন পিরিয়ডের পর ওয়ার্নিং বাজার সাথে সাথে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করবে।
১১. বিদ্যালয়ের সম্পদ কেউ নষ্ট করবে না,কোন সম্পদ নষ্ট হতে দেখলে বাধা দিবে এবং কর্তৃপক্ষকে তৎক্ষণাৎ জানাবে।
১২. কোন শিক্ষার্থী বিনা অনুমতিতে একাধারে ৭ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে পরবর্তী দিন অভিভাবককে সাথে নিয়ে আবেদনসহ শ্রেণি শিক্ষকের সাথে সাক্ষাৎ করবে। একই কাজ পূণরাবৃত্তি হলে প্রয়োজনে ভর্তি বাতিল করা হবে।
১৩. বিদ্যালয়ের দেয়াল,দরজা,জানালা বা বেঞ্চে কোন কিছু লিখা বা নোংরা করা যাবে না।
১৪. প্রতি পিরিয়ডে শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ যে পাঠদান করবেন তা সংক্ষেপে দৈনিক পাঠের বিবরণী’ বইতে লিপিবদ্ধ করবে।
১৫. পরীক্ষার হলে অসদাচরণ করবে না। কথা-বার্তা বলবে না,বই-পত্র,ব্যাগ বা লেখা কোন কাগজ সঙ্গে আনা যাবে না।
১৬. শিক্ষার্থীদের একক বা কোন যৌথ আবেদন লিখিতভাবে শ্রেণি শিক্ষকের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষককে জমা দিতে হবে।
১৭. ছুটির ঘন্টা বাজলে শ্রেণিকক্ষের লাইট,ফ্যান বন্ধ তরে সারিবদ্ধভাবে নি:শব্দে শ্রেণিকক্ষ ত্যাগ করবে।
১৮. খেলাধূলা এবং বিদ্যালয়ের যে কোন অনুষ্ঠানে বাধ্যতামূলত উপস্থিত থাকতে হবে। বিদ্যালয়ের যে কোন অনুষ্ঠানে শান্তি-শৃঙ্খলা ও একতা বজায় রেখে অনুষ্ঠানকে সুন্দর ও সফল করতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবে।
১৯. কোন শিক্ষার্থীর আচার-আচরণের ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে,বিদ্যালয় বিধি-বিধান ও শৃঙ্খলা মেনে না চললে বা শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোন কাজ করলে তার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
২০. টয়লেট ব্যবহারের পর পর্যাপ্ত পানি ব্যবহার করতে হবে।
সতর্কতা
- বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দেশ ও জাতির সেবা করার লক্ষে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে নিজেকে সমৃদ্ধ করার জন্য আমরা বরারবই উৎসাহ প্রদান করি। কিন্তু কোন ছাত্রী যদি ফেসবুক,টুইটার বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজ নামে বা বেনামে একাউন্ট/পেজ/গ্রুপ খুলে স্ট্যাটাস,ব্লগ লিখে অথবা ছবি বা ভিডিও এডিটিং/টিকটক এর মাধ্যমে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা কোন শিক্ষক বা কোন সতীর্থ বা সমাজ,রাষ্ট্র,ধর্ম,বর্ণ,জাতি,গোত্রকে কটাক্ষ করে তাহলে তার দায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকেই নিতে হবে।সে ক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কিছুই করার থাকবে না।
- বিভিন্ন জাতীয় দিবসের কার্যক্রমে অংশগ্রহন বাধ্যতামূলক এবং তা ধারাবাহিক মূল্যায়নে বিবেচনা করা হবে।
- বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি এবং আচরন ও শৃঙ্খলার মূল্যায়ন করা হবে।
সম্মানিত অভিভাবক/অভিভাবিকাদের প্রতি
১. আপনার মোবাইল নম্বরটি রাখুন এবং মোবাইল নম্বর পরিবর্তন হলে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন।
২. আপনার মেয়ে বিদ্যালয় এর কার্য দিবসে ঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে আসে কিনা এবং ছুটির পরে বাসায় ঠিক সময়ে ফিরে কিনা এবং বাসায় যতক্ষণ থাকে পাঠে মনযোগী কিনা তা নিজেই লক্ষ্য রাখুন।
৩. দৈনিক পাঠের বিবরণী’ বই এর শিক্ষার্থীদের আচরণবিধি অভিভাবক অবশ্যই পাঠ করবেন এবং সে অনুসারে তাকে নির্দেশ ও সাহায্য করবেন।
৪. শিক্ষার্থীর লেখাপড়া ও চারিত্রিক উন্নতি সম্পর্কে জানার জন্য প্রকৃত অভিভাবক মাঝে মাঝে শ্রেণি শিক্ষক/সহ: প্রধান শিক্ষক/প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করবেন।
৫. শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে যে কোন বিষয়ে আলোচনার জন্য পত্র পাওয়ার পর নির্ধারিত দিনে ও সময়ে অভিভাবক শ্রেণি শিক্ষক/সহ: প্রধান শিক্ষক/প্রধান শিক্ষকের সাথে দেখা করবেন।
৬. কোন শিক্ষার্থী অসুস্থতার কারনে বিদ্যালয়ে আসতে না পারলে অভিভাবকের স্বাক্ষর সহ আবেদন পত্র শ্রেণি শিক্ষকের নিকট জমা দিতে হবে। প্রয়োজনে সুস্থ হলে মেডিকেল সার্টিফিকেটসহ অভিভাবককে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতে হতে পারে।
৭. কোন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে এসে অসুস্থবোধ করলে ছুটির আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিভাবকের জিম্মায় বিদ্যালয় ত্যাগ করতে পারবে।
৮. বেতন আদায়ের তারিখে আপনার মেয়ে যাতে নিয়মিত বেতন পরিশোধ করে সেদিকে দৃষ্টি রাখবেন।
৯. অভিভাবক নিজ দায়িত্বে মেয়েকে বিদ্যালয়ে পৌচ্ছে দেবেন এবং ছুটির পর ঠিক সময়ে নিয়ে যাবেন। প্রয়েজন ব্যতীত বিদ্যালয়ে অবস্থান করবেন না।
১০. বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড এবং ডিজিটাল প্লাটফর্ম ফেসবুক গ্রুপ ও পেজ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে হবে।
১১. আপনার মেয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যের দিকে সতর্ক দুষ্টি রাখুন এবং খারাপ পরিবেশ ও কু-সঙ্গ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করবেন।
১২. সব সময় মনে রাখতে হবে অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মিলিত প্রয়াসের ফলে ছাত্রীর পাঠোন্নতি ও সুন্দর চরিত্র গঠন সম্ভব।
১৩. শিক্ষক,শিক্ষার্থীর মানস-পিতা এ কথা স্মরণ রেখে স্বীয় সন্তানের পাঠোন্নতি ও চরিত্র গঠনের ব্যাপারে শিক্ষকদের স্বত:স্ফূত সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবেন এটাই একান্ত কাম্য।
শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়ন ও সর্বাঙ্গীন কল্যাণে গৃহীত যাবতীয় কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করি।
ধন্যবাদন্তে
প্রধান শিক্ষক