একুশে কর্ণার
শিশুদের মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ও তাদের সামনে মাতৃভাষা দিবসের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে রাণীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একুশে কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। একুশে কর্ণারে স্থাপিত বুকশেলফে মাতৃভাষা বাংলা এর ওপর লেখা বিভিন্ন লেখকের বই শোভা পাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা তাদের ইচ্ছামত বুক সেলফ থেকে বই নিয়ে পড়ছে। এছাড়াও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহিদদের তথ্য সম্বলিত ছবি দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে। তারা ছবিগুলো দেখে ও ছবির নিচের বিবরন পড়ে ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস ও তাৎপর্য জানতে পারছে। তাদের এ অভ্যাসের কারনে তারা এখন অন্যান্য ইতিহাসের বই পড়তে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
শুধু তাই নয়! একুশে কর্নারের পোস্টারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্যরাও বাংলা ভাষা, বাংলা ভাষা আন্দোলন, বাঙালি সংস্কৃতি, মহান একুশের প্রেক্ষাপট, পর্যায়ক্রমিক ইতিহাস এবং সর্বোপরি মাতৃভাষা ভিত্তিক স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় সম্পর্কে সম্যকভাবে অবগত হবে। কালক্রমে বাংলা ভাষা এবং বাংগালি জাতি পৃথিবীর যেকোন ভাষাভাষীর কাছেই মাতৃভাষা সংরক্ষণের দৃষ্টান্ত হিসেবে সম্মানিত অবস্থানে উত্তীর্ণ হবে।সমাজে বেড়ে উঠা আমাদের নতুন প্রজন্ম তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য ভাষাভাষীদের কাছে বিশেষভাবে মূল্যায়ন পাবে এবং গর্বিত চিত্তে মাতৃভাষা বাংলা শেখা এবং চর্চায় অধিকতর মনযোগী হবে।
এমনকি সর্বপরি বলতে হয়, মহান ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’কে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে উদযাপনে ইউনেস্কোর প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ভাষা হিসেবে ‘বাংলা’ এবং জাতি হিসেবে ‘বাঙালি’কে বিশ্বের সকল ভাষাভাষী এবং জাতীর কাছে এক ব্যতিক্রমী সম্মানীয় অবস্থানে স্থায়ীভাবে স্থান করে দিয়েছে।